কলা ও বাদুরের গল্প ০.১
অনার্সের ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্ট শুনেছি রাত্রে ৷ আব্বা মা হয়তো ঘুমে আচ্ছন্ন ৷ আমার এক বন্ধু প্রথমবার ই চান্স পেয়েছিল ৷ তাকে ফোন দিলাম ৷ সে রোল নাম্বার চাইলো ৷ সে খুব খুশি হয়ে বলেছিল তোমার ত চান্স হয়েছে ৷ আমিও খুশি ভীষন রকম ৷ রাতেই ফোন দিয়ে এক বড় ভাইকে জানিয়েছিলাম, অবশ্য এতে উনার তেমন আগ্রহ দেখি নি ৷ হয়তো এটার মূল্য খুবই ক্ষীণ ছিল তার কাছে ৷ বিষয়টি হয়তো আসলেই তুচ্ছ ৷
যাই হোক, ব্যবস্থাপনা বিভাগের উজ্জ্বল ভাইয়ের এখানে গিয়ে উঠলাম দত্ত হলে ৷ উনি আবার নরসিংদীর এক বড় ভাইয়ের রুমে আমাকে শিফট করেছিল ৷ ঐ রুমেই ছিলাম টানা ৩-৪ মাস ৷ কাজী নজরুল ইসলাম হলের সম্ভবত চতুর্থ ও পঞ্চম তলা নতুন করে সম্প্রসারণ করা হয়েছিল ৷ যাই হোক আমাকে নরসিংদীর ঐ বড় ভাই কাজী নজরুল ইসলাম হলে যাওয়ার জন্য বলতেছিলেন ৷ সাথে একই ব্যাচের আরেকটা ছেলে ছিল অংকের ৷ ভাবে সারা শরীর ছিল টইটম্বুর ৷ আমরা যেতে চাইতাম না ৷ আমরা এখানেই থাকবো বলে বায়না ধরেছিলাম ! তা কি আর হয়? খাইলাম একটা ধাক্কা ! মানসিক ধাক্কা! কিছুটা ব্যথাও পেয়েছিলাম এই রুমটা ছেড়ে দিতে !
চলে এলাম নজরুল ইসলাম হলে ৷ ১০৬ !
১০৬ নাম্বার রুম ৷ গাদাগাদি করে ৫-৬ জন থাকতাম শুরুতে ৷ আস্তে আস্তে এই রুমটাও একটা আবেগের জায়গা হয়ে গেল কালের ব্যবধানে!
ডাইনিং এ দুপুরে যেদিন মুরগির মাংস দিতো, সেদিন একটু আগেবাগেই যাইতাম ! দেরিতে গেলে নিরগাডা আমার ভাগ্যে পড়বে এই ভেবে ! ছোট ছোট বাটিতে তরকারি সাজানো থাকতো ৷ কোন টুকরোটা বড় আর কোনটা যে বড় তা আমি খুব কম দিনই ঠাহর করতে পারতাম ! কখনো মনে হয়তো এই টুকরো টা বড়, আবার কখনো মনে হয়তো ঐটা ! শেষ পর্যন্ত মনে হয়তো, প্রথম যেটা ধরছি ঐটাই ভালো!
কী যে এক জ্বালা !
এভাবেই এখানে থাকলাম অনেক দিন ৷ পরে গেলাম এক মেসে ৷ এই মেসটা চালাইতো এক বড় ভাই ! তিন বছরের বড় ! উনার খবরদারি দেখে কখনো কখনো মনে হতো, উনি কী আসলেই ছাত্র? নাকি ব্রিটিশদের ঠিকাদার ! খুব খবরদারি করতো!
Interesting 🥰🥰
This comment has been removed by the author.