বাড়ি আমায় ডাক দিয়ে কয় বাড়ি আয়
প্রিয় মোখলেস,
কেমন আছো? আজকাল খুব বেশি তোমাকে মনে পড়ে। বাড়ির কথা মনে পড়ে। বাড়ির পাশে লেবু গাছের কথা মনে পড়ে। আমার আত্নার কথ মনে পড়ে। জীবনটা এতো
কেন জটিল। সেই কবে স্বাধীনভাবে বাড়ি ছেড়েছি
মনে পড়ে না। বাড়ির পাশে শীতকালের ক্ষেত,
মুড়িমাখা খাওয়া কী যে আনন্দের তা বলার শেষ নাই। মাঝে মধ্যেই ইচ্ছে করে সব কিছু ছেড়ে
বাড়ি চলে যায়।
আমাদের জমি নাই। যদি আমাদের জমি থাকতো আমি কৃষক
হতাম, বাড়িতে থাকতাম। আপন মনে নিজেকে ভালবাসতাম।
পড়াশোনা করে পড়েছি বিপদে। বাড়ি ছাড়তে হয়েছে। আমার মা আমার জন্য কাঁদে। আমার বাড়ির দুর্বা ঘাসগুলোও আমার জন্য কাঁদে ।
কী দরকার এত প্রভাব, প্রতিপত্তি?
একদিন ফটিকের মতো আমার ছুটি হবে। আমি বাড়ি জাবো ইংশাআল্লাহ। আমার ঘর হবে, আমার
ছুটি হবে আমি সত্যিই একদিন বাড়ি যাবো।
আমার ছুটি হবে জীবনের তরে। এ ছুটি সাধারণ ছুটি না। এ ছুটি চিরন্তন ছুটি।
মনেপ্রাণে চাই, আমি বাড়ি যাবো। বাড়ি গিয়ে বাজারে
যাবো। সব ধরণের শীতকালীন সবজি কিনবো, নিজের মতো করে বাঁচবো। অল্প কয়েকদিনের দুনিয়া।
কী দরকার এত অহংকার করে। একদিন সবাই আমরা আমাদের সত্যিকারের বাড়ি যাবো। আমাদের আপন বাড়ি।
এ বাড়ি কেবল আমার, অন্য কারো না। জীবন নিয়ে আমার চাহিদা নাই। অনেকজনকে ভালোবেসেছি।
কিন্ত আমাকে কেও বাসেনি। আমাকে কেও কোনদিন কথা দেয়নি। যাদের আমি ভালবেসেছি, তারা আমাকে
বাড়ি যাতে বলে নি কোনদিন। আমি চিরন্তন
অবহেলিত, মানসিক নির্যাতিত।
আমি বাড়ি
যেতে চাই। কারণ আমার বাড়ি আমার ঘড় আমাকে
সবসময় ডাকে। এই ডাক আমি অগ্রাহ্য করি কেমনে। এজন্যই বলি স্বপ্ন যাবে বাড়ি আমার।
ইতি
আহা